দীর্ঘ ১৯ মাস পর ক্লু ল্যাস এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন হয়। এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩ জনকে আটক করা হয়।

আটকদের তথ্য অনুযায়ী অটোরিকশা, মোবাইল ফোন সেট উদ্ধার করা হয়।

মূলত অটোরিকশা ছিনতাই করতেই শাকিলকে হত্যা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় অবস্থিত নারায়ণগঞ্জ পিবিআই কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

জানা যায়, আড়াইহাজার থানার বালিয়াপাড়া এলাকার আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে শাকিল অটোরিকশাসহ নিখোঁজ হন। এ সময় অজ্ঞাতনামা আসামিরা শাকিলকে হত্যা করে তার অটোরিকশা ও মোবাইল ফোন সেট নিয়ে যায়।

পরবর্তীতে শাকিলের লাশ সোনারগাঁ থানার গজারিয়া এলাকা থেকে পুলিশ উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় শাকিলের ছোট ভাই সজিব বাদী হয়ে গত ২০১৮ সালের ১৩ নভেম্বর অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে সোনারগাঁ থানার মামলা নং-৩০ দায়ের করে।

পরবর্তীতে পুলিশ হেড কোয়ার্টারের নির্দেশে মামলাটি ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে  পিবিআই নারায়ণগঞ্জে হস্তান্তর করা হয়।

এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নিযুক্ত করা হয় পরিদর্শক আলী আকবর হোসেনকে। তদন্তকারী কর্মকর্তা তথ্যপ্রযুক্তি ও স্থানীয় সূত্রকে কাজে লাগিয়ে শাকিলের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন সেট উদ্ধার করে।

মোবাইল ফোন বিক্রেতা আমিনুল ইসলাম ও মো. আরিফ চৌধুরীকে রূপগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তাদের তথ্যের ভিত্তিতে  শাকিলের ব্যবহৃত অটোরিকশাটি মো. আরব আলীর কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত ৩ আসামি শাকিলকে হত্যা করে অটোরিকশা ও মোবাইল সেট ছিনিয়ে নেওয়ার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

এ বিষয়ে পিবিআই নারায়ণগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম (পিপিএম) জানান, অপরাধ তদন্তে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অবলম্বন করায় পিবিআই এখন সাফল্যের শীর্ষে অবস্থান করছে। উপরন্তু পিবিআই নারায়ণগঞ্জ জেলায় একটি ক্রাইমসিন ভ্যান যুক্ত হওয়ায় খুন, ডাকাতি, ধর্ষণ সহ চাঞ্চল্যকর মামলার রহস্য উদ্ঘাটনে নব দিগন্তের সূচনা করবে এবং পিবিআই এর সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তথ্যসুত্র: দেশ রূপান্তর